ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় মাংস বিক্রেতার হাতে জিম্মি ক্রেতারা

মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া ::  সিন্ডিকেট করে মাংস বিক্রি করছে চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী হাঁসেরদিঘি বাজারে। আসন্ন রমজান উপলক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি স্থানীয়দের। লাল মিয়া লালু ও জমির উদ্দিন নামের ব্যবসায়ীরা পুরো বাজারটি মাংস ব্যবসাকে জিম্মি করে রেখেছে। চিরিংগাসহ বিভিন্ন বাজার থেকে পাইকারী মাংস কিনে হাঁসের দিঘি বাজেরে ইচ্ছানুযায়ী দামে বিক্রি করছে তারা। গভীরভাবে যাচাই করলে যেকেউ তাদের পঁচা মাংস বিক্রির সত্যতা মিলবে এমনি অভিযোগ করেন হাঁসের দিঘি বাজার এলাকার লোকজন।

খবর নিয়ে জানা গেছে, মাংস বিক্রেতা লাল মিয়া লালু বিগত সাত মাস আগে মাদকের চালান নিয়ে ভাঙ্গার মুখ এলাকায় থানা পুলিশের হাতে আটক হয়। বর্তমানে সে জামিনে এসে হাসেরদিঘি বাজারে মাংস বিক্রি করছে। প্রভাব বিস্তার করে ওই বাজারে মাংসের ব্যবসা করতে দিচ্ছে না কাউকে। সকল ক্রেতাসাধারণ মাংস কিনতে তাদের হাতেই জিম্মি হতে হচ্ছে। স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, আসন্ন মাহে রমজান উপলক্ষে এর কোন ব্যবস্থা না নিলে সাধারণ মানুষ চরম হয়রানির শিকার হবেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরদারির দাবি জানান তারা।

বাজারের মুরগী ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিন জানায়, গত বৃহস্পতিবার শবে মেরাজ উপলক্ষে বাজার এলাকার নুরুন্নবী নামের এক মুরব্বিসহ গরু মাংস বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ওইদিন সকালে তাদের বাধা প্রদান করে লালু কসাই ও তার দলবল। এসময় নাছিরের ছোটভাই তুহিনকে প্রচন্ড মারধর করে। এখন লালু কসাইর বিভিন্ন হুমকিধামকিতে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে নাছির। এভাবে কেউ ওই বাজারে মাংস ব্যবসা করতে চাইলে তার উপর চলে নির্যাতন।

এ ব্যাপারে জানতে কসাই লাল মিয়ার মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন করলে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

হাঁসেরদিঘি বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান, বিষয়গুলো আমি শুনেছি। এনিয়ে আগামি সোমবার মিটিং ডাকা হয়েছে। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত: